প্রথম পর্বের গল্পগুলির বেশিরভাগই পদ্মাতীরে বসে লেখা। বাংলা গ্রামজীবনের নৈকট্য, বোটে পদ্মাবাস এগুলিকে এমন সরস .........................................
রবীন্দ্রনাথের প্রথম পর্বের,দ্বিতীয় পর্বের,তৃতীয় পর্বের ছোটো গল্পগুলির বৈশিষ্ট্য
Characteristics of Rabindranath's short stories of Part I, Part II, Part III
রবীন্দ্রনাথের প্রথম পর্বের ছোটো গল্পগুলির বৈশিষ্ট্য কী ?
উত্তর :প্রথম পর্বের গল্পগুলির বেশিরভাগই পদ্মাতীরে বসে লেখা। বাংলা গ্রামজীবনের নৈকট্য, বোটে পদ্মাবাস এগুলিকে এমন সরস প্রাণরসে পূর্ণ করেছেন যার তুলনা মেলা ভার। মানুষ ও প্রকৃতির মধ্যে একটি নিগূঢ় সম্পর্ক কবি আবিষ্কার করেছেন। সাধারণ মানুষের জীবনের ছোটো ছোটো হাসি কান্না, সুখ-দুঃখ এই গল্পের মধ্যে রূপলাভ করেছে।
রবীন্দ্রনাথের দ্বিতীয় পর্বের ছোটো গল্পগুলির বৈশিষ্ট্য কী ?
উত্তর: এই পর্বের ছোটো গল্পগুলিতে নাগরিক বাচনভঙ্গি এবং ভাবকল্পনার বিশিষ্টতা প্রকাশিত। নাগরিক চাতুর্য এবং বাকী্দশ্যের নৈপুণ্য, উইটের দীপ্তিতে, ক্ষুরধার মন্তব্যে এবং গূঢ় তির্যকতায় এই গল্পগুলি হয়ে উঠেছে চমকপ্রদ। মানুষের নতুন মূল্যবোধের দিকে লেখকের দৃষ্টি পড়েছে।
রবীন্দ্রনাথের তৃতীয় পর্বের গল্পের বৈশিষ্ট্য কী ?
উত্তর :তৃতীয় পর্বের গল্পে বাচনভঙ্গির তির্যকতা এবং ভাব-চেতনার আধুনিকতা তথা তত্ত্ব প্রাধান্য লক্ষণীয়। প্রথম গল্প 'রবিবার' একটি মনোরম প্রেমকাহিনি, দ্বিতীয়টি আরণ্যক জৈবতার মতো অন্ধ আকর্ষণ থেকে অচিরার পুনরুবোধন এবং নবীন মাধবের অনিচ্ছালব্ধ মুক্তি (শেষ কথা) এবং তৃতীয়টিতে সোহিনী নামে এক জ্যোতির্ময়ীর প্রলোভনের অগ্নিচক্র রচনা করে নন্দকিশোরের বিজ্ঞানযজ্ঞের ঋত্বিককে বিফল সন্ধান ('ল্যাবরেটরি')।প্রকৃতি ও মানবজীবনের সম্পর্ক প্রকাশ পেয়েছে রবীন্দ্রনাথের যে ছোটো গল্পগুলিতে তা লেখো 'ছুটি', 'অতিথি' বা 'শুভা' গল্পে প্রকৃতি ও মানবজীবনের সম্পর্ক বিশেষভাবে ব্যক্ত হয়েছে।
'ছুটি'র ফটিকের মুক্তির বাসনা, অতিথি'র তারাপদ চরিত্রে আরও গভীর হয়ে কবির নিসর্গ চেতনার মূল ভিত্তিকেই যেন বিস্ময়কর চমৎকারিত্বে প্রকাশ করেছে। 'শুভা' গল্পের মূক মেয়েটি ভাষাহীন প্রকৃতির সঙ্গে যেন একাত্ম।
COMMENTS